অসহায় মানুষের প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা
হরি সুন্দর রায় অনেক আবেগ নিয়ে নিচের লিখাগুলি ফেইসবুক এ পোস্ট দেন–
ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে জরুরী বিভাগে রোগী নিয়ে যাওয়ার সাথে সাথে টিকেট নিতে হবে। টিকেট ২০ টাকা। টিকেট নেওয়ার পর রোগীকে হুইল চেয়ারে করে ওয়ার্ডে নিয়ে গেলে ১০০ টাকা, আর রোগীর অবস্থা খারাপ হলে ট্রলি দিয়ে নিতে ২০০ টাকা,ওয়ার্ডে নিয়ে যাওয়ার পর রোগীর, ২০০-৩০০ টাকা হলে বেড আছে। না হয় মাটিতে। রোগী ভর্তি শেষ। এবার ডাক্তারের পালা। ডাক্তার আসবে রোগী দেখবে।তারপর শুরু হবে পরীক্ষা। প্রথমে কমপক্ষে ৪টি পরীক্ষা সাথে ১ বস্তা স্যালাইন ও কিছু ঔষধ। পরীক্ষার রিপোর্ট আসা পর্যন্ত স্যালাইন আর ঔষধ চলবে।
রিপোর্ট আসার পর আরেক ডাক্তার আসবে সে দেখে আবার অন্য পরীক্ষা দিবে।এভাবে প্রতিদিন ডাক্তার পরিবর্তন হবে আর একটার পর একটা পরীক্ষা দিবে।পরীক্ষা করাতে হুইলচেয়ারে নিয়ে গেলে ১০০ টাকা আর ট্রলিতে নেওয়া লাগলে ২০০ টাকা ওয়ার্ড বয়কে দিতে হবে. মানুষের সব শেষ। হাতে ভিক্ষার বাটি।
বাচ্চা হলে ওয়ার্ড বয় আয়া কে খুশি করতে হবে দিতে হবে ১০০০/- থেকে ২০০০/- সিজার হলে তো কোন কথায় নাই। অপারেশন থিয়েটারের বয়কে খুশি করতে হবে। দারোয়ানকে খুশি করতে হবে। এবং প্রতিদিন ড্রেসিং করার জন্য আয়া বা ওয়ার্ড বয় কে ২০০/- থেকে ৩০০/- দিতে হবে। তা না হলে ড্রেসিং করবে না।রোগী সুস্থ্য। এবার রিলিজ দেওয়ার পালা। দারোয়ানকে খুশি করতে হবে। ওয়ার্ড বয়কে খুশি করতে হবে। সবাইকে খুশি করে নিজে শেষ হয়ে হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। তারপর বাহিরে এসে দেখবেন জাতির সেই ব্যানার ঝুলে আছে, আমি ও আমার প্রতিষ্ঠান দুর্নীতি মুক্ত।