
শেরপুরে অর্ধশতাধিক গ্ৰাম প্লাবিত: ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি

শেরপুরে রাতভর বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা ঢলে মহারশি ও চেল্লাখালি নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে ঝিনাইগাতী উপজেলার ঝিনাইগাতী বাজার সহ অর্ধশতাধিক গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এরই মধ্যে অন্তত ত্রিশটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সহ মসজিদ, মাদ্রাসা ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে পানি ঢুকেছে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা হুমায়ুন দিলদার বলেন, উপজেলার ৪ হাজার ৩০০ হেক্টর জমির আমন আবাদ সম্পূর্ণ ও ১০০ হেক্টর জমির সবজি আবাদ ঢলের পানিতে নিমজ্জিত হয়েছে। পানি সরে গেলে ক্ষয়ক্ষতির পূর্ণ বিবরণ পাওয়া যাবে।
ঢলের পানিতে উপজেলার অনেক কাঁচা রাস্তা ভেঙে গেছে তাছাড়াও অসংখ্য মৎস্য খামার পানিতে ভেসে গেছে। দুশ্চিন্তায় ভূগছেন খামারি ও চাষীরা।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের তথ্যমতে জেলার গুরুত্বপূর্ণ চারটি পয়েন্টের মধ্যে তিনটি পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে এবং একটি পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এদের মধ্যে ভোগাই নদীর নাকুগাও পয়েন্টে বিপৎসীমার ১৭২ সে.মি উপর দিয়ে, ভোগাই নদীর নালিতাবাড়ি পয়েন্টে ৫৬ সেমি উপর দিয়ে এবং চেল্লাখালি নদীর বাতকুচি পয়েন্টে বিপৎসীমার ৫২৫ সে.মি ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। অপরদিকে পুরাতন ব্রক্ষপুত্র নদের শেরপুর ব্রিজ পয়েন্টে ৬৫৯ সেমি নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
ঝিনাইগাতী উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো. আশরাফুল আলম রাসেল বলেন, গতকাল রাতের টানা বর্ষণ এবং উজান থেকে নেমে আসা ঢলে বাজার সহ অনেক গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। তবে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এখনও নির্ধারণ করা যায়নি। প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের প্রস্তুতি চলছে।