আজ শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ॥ ৫ আশ্বিন, ১৪৩১ ॥ ১৬ রবিউল আউয়াল, ১৪৪৬

শ্রীপুরে স্ত্রীর স্বীকৃতি না পেয়ে তরুণীর আত্মহত্যার চেষ্টা 
গ্রাম বাংলা জাতীয় শিরোনাম

শ্রীপুরে স্ত্রীর স্বীকৃতি না পেয়ে তরুণীর আত্মহত্যার চেষ্টা 

প্রতিনিধি: সাকিব খান শ্রীপুর (মাগুরা)
এপ্রি ৭, ২০২৪

মাগুরার শ্রীপুরে স্ত্রীর স্বীকৃতি না পেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছে সাদিয়া আক্তার মৌ (১৮) নামে এক তরুণী। ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার বিকেলে উপজেলার সদর ইউনিয়নের সারঙ্গদিয়া গ্রামে। এ ঘটনায় শ্রীপুর থানায় একটি মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সাদিয়া আক্তার মৌ ও প্রতিবেশী অন্তর খান (২২) এর মাঝে দীর্ঘদিন ধরে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। একটা সময় মৌ এর পরিবারের লোকজন বিষয়টি বুঝতে পেরে উপজেলার চন্ডিখালী গ্রামে মেয়েকে বিয়ে দেয়। তাদের সংসারে ১০ মাসের এক কণ্যা সন্তান রয়েছে। তখনও মৌকে বিভিন্ন সময় বিয়ের আশ্বাস দিতে থাকে প্রেমিক অন্তর। একটা সময় মৌকে বিয়ের আশ্বাস দিয়ে স্বামীকে ডিভোর্স করাতে বাধ্য করে। তারপর দু’জনে পালিয়ে বিয়ে করে সংসার শুরু করে। তাদের খুঁজে না পাওয়ায় মেয়ের বাবা সাচ্ছু মাগুরা বিজ্ঞ আদালতে এবং ছেলের বাবা রুহুল খান ডিবিতে লিখিত অভিযোগ দায়ের করে। অভিযোগের ভিত্তিতে ঝিনাইদহ পিবিআই মৌকে উদ্ধার করে আদালতে প্রেরণ করেন৷ পরে তাকে আদালত মুক্তি দেই। বাড়িতে গেলে আবারো দু’জনের যোগাযোগ হয়। দু’জনে শ্রীপুর অন্তরের দুলাভাই আল-আমিনের বাড়িতে আশ্রয় নেয়। পরে শনিবার দুপুর ১২ টার দিকে সেখান থেকে অন্তরের বাড়িতে পাঠানো হয় মৌকে। এ সময় অন্তরের পরিবারের লোকজন মৌকে মারধর করে বাড়ি থেকে বের করে দেয়। সেখান থেকে বাড়িতে ফিরে ঘরের আড়ার সাথে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে সে আত্মহত্যার চেষ্টা করে। পরে পরিবারের লোকজন টের পেয়ে আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে মাগুরা ২৫০ শয্যা সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়। বর্তমানে সে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে।

এ বিষয়ে সাদিয়া আক্তার মৌ এর বাবা সাচ্ছু খোন্দকার ও মা রোজিনা বেগম বলেন, আমার মেয়ের সংসার ভেঙ্গেছে অন্তর। সে আমার মেয়েকে বিয়ে করেছে। চার মাস আত্নগোপনে থেকেছে। আমার মেয়ে স্ত্রীর অধিকার নিয়ে ওদের বাড়িতে গেলে তাকে মারধর করে তাড়িয়ে দিয়েছে। মানসম্মান ও অভিমানে মেয়ে আমার আত্মহত্যার চেষ্টা করেছে। আমরা এ ঘটনার সঠিক বিচার চাই।

এ বিষয়ে অন্তর খানের বাবা রুহুল খান বলেন, ছেলে ও মেয়ে দীর্ঘদিন পালিয়ে ছিলো। ছেলে কোথায় আছে জানি না৷ আর ছেলে যখন বাড়িতে নেই তখন আমরা কিভাবে তাকে ঘরে তুলবো? আর মারধরের বিষয়টি সম্পূর্ণ মিথ্যা। তাকে বুঝিয়ে তার বাবার বাড়িতে পাঠানো হয়েছিলো।

এ বিষয়ে শ্রীপুর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ তাসমীম আলম বলেন, এ বিষয়ে কোন লিখিত অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পাওয়া গেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *