আজ শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ॥ ৫ আশ্বিন, ১৪৩১ ॥ ১৬ রবিউল আউয়াল, ১৪৪৬

সীতাকুণ্ডে আটলেনের বিকল্প প্রস্তাবে-এমপি আল মামুন’র সাথে মতবিনিময়
অন্যান্য গ্রাম বাংলা প্রধান খবর শিরোনাম

সীতাকুণ্ডে আটলেনের বিকল্প প্রস্তাবে-এমপি আল মামুন’র সাথে মতবিনিময়

প্রতিনিধি: প্রবাহ বার্তা প্রতিবেদক:
মার্চ ১২, ২০২৪

চট্টগ্রামঃ ঘনবসতিপূর্ণ সীতাকুণ্ড এলাকায় আটলেন মহাসড়কের বিকল্প প্রস্তাবের দাবিতে স্থানীয় সংসদ সদস্য এসএম আল মামুন এর সাথে এলাকা বাসিরদের মতবিনিময় সভা। ও

সম্ভাব্য ব্যাপক অপূরনীয় ক্ষয়ক্ষতি হতে রক্ষায় বিকল্প সড়কের অত্যন্ত প্রয়োজনীয়তা ও শতগুরুত্বপূর্ণ বিশেষ আলোচনায় অনুষ্ঠিত হয়।

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক চারলেন থেকে আটলেনে উন্নীত করার খবরে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড উপজেলার বাসিন্দাদের মাঝে নতুন করে উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠা তৈরি হয়েছে। সীতাকুণ্ডের বিশিস্টজনরা জানান, ২০১০ সালে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক চার লেনে উন্নীত করা কর সীতাকুণ্ডের মানুষ বিভিন্নভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়। বিশেষতঃ এই মহাসড়কের পাশে স্থানীয়দের জন্য সার্ভিস লেইন না করে বন্ধ করে দেয়া হয় কম গতির যানচলাচল। এতে বিপাকে পড়েন এই উপজেলার কয়েক লাখ মানুষ। কিন্তু নতুন করে আট লেইন করার হলে অত্যন্ত ঘনবসতীপূর্ণ এই এলাকার বহু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, শিল্প কারখানা, হাট বাজার, বাড়ী-ঘর, মসজিদ-মন্দির, কবরস্থানসহ শত শত গুরুত্বপূর্ণ ঐতিহ্যবাহি স্থাপনা ছাড়া শত শত জীব বৈচিত্র অধিগ্রহণের মধ্যে পড়ে যাবে।

সরকারের প্রস্তাবিত আটলেন মহাসড়ক হলে সীতাকুণ্ড এলাকার সম্ভাব্য ক্ষয়ক্ষতি এবং বিকল্প ভাবনার লক্ষ্যে সীতাকুণ্ডের বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষজন স্থানীয় সংসদ সদস্য জনাব এস এম আল মামুন এর সাথে মত বিনিময়সভায় মিলিত হন।

গত রবিবার (১০ মার্চ) চট্টগ্রাম নগরীর খুলশী ক্লাব লিমিটেডে সীতাকুণ্ড হেলথ এন্ড এডুকেশন ট্রাস্টের চেয়ারম্যান মাস্টার আবুল কাশেম এর সভাপতিত্বে এবং সীতাকুণ্ড উপজেলা সমাজকল্যাণ ফেডারেশনের সভাপতি মো. গিয়াস উদ্দিন এর সঞ্চলনায় অনুষ্ঠিত হয়।

সভায় সংসদ সদস্য এস এম আল মামুন বলেন, দেশের অর্থনীতির লাইফলাইন খ্যাত ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক চার লেন থেকে আট লেনে উন্নীত করা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর অগ্রাধিকার প্রকল্প। বাংলাদেশের বৈদেশিক বাণিজ্যের ৯০ শতাংশ ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ওপর নির্ভরশীল। তিনি বলেন, সীতাকুণ্ড শিল্পজোন এবং ঘনবসতিপূর্ণ হওয়ায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক চার লেন থেকে আট লেনে উন্নীত না করে ফৌজদারহাট ডিসি পার্ক হতে মীরসরাই বঙ্গবন্ধু ইকোনমিক জোন পর্যন্ত মেরিন ড্রাইভ সড়ক চার লেনে অথবা ঢাকা চট্টগ্রাম মহাসড়ক সীতাকুণ্ড অংশ (বড় দারগাহাট হতে সিটি গেইট পর্যন্ত) এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে করার আপনাদের প্রস্তাবনা আমি প্রধানমন্ত্রীসহ সরকারের সংশ্লিস্ট মহলে উপস্থাপন করবো।

সভায় অংশগ্রহণকারী সীতাকুণ্ডের বিশিস্টজনেরা ২৫ দফা দাবি নামা সম্বলিত স্মারকলিপি সংসদ সদস্য জনাব এস এম আল মামুনকে প্রদান করেন।
২৫ দফার প্রধান প্রধান দাবী সমূহঃ
ঘনবাসতীপূর্ণ সীতাকুণ্ড এলাকার উপর দিয়ে প্রবাহিত ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক চার লেন থেকে আট লেনে উন্নীত না করে ফৌজদারহাট ডিসি পার্ক হতে মীরসরাই বঙ্গবন্ধু ইকোনমিক জোন পর্যন্ত মেরিন ড্রাইভ সড়ক চার লেনে অথবা ঢাকা চট্টগ্রাম মহাসড়ক সীতাকুণ্ড অংশ (বড় দারগাহাট হতে সিটি গেইট পর্যন্ত) এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে করা। সীতাকুণ্ডে সকল কলকারকানায় ৫০% স্থানীয় কোটা বাধ্যতামূলক করা, শিল্পায়নের নামে সীতাকুণ্ডবাসীর বসতবাড়ি, ফসলী জমি জবর দখল বন্ধ করা, মাদক ও সন্ত্রাস মুক্ত সীতাকুণ্ড গড়া, যানজটমুক্ত নিরাপদ সড়ক ও পর্যাপ্ত গণপরিবহণ চালু করা, সীতাকুণ্ডের পর্যটন স্পটসমূহের সরকারী স্বীকৃতি ও পর্যটনবান্ধব অবকাঠামো নির্মাণ এবং সীতাকুণ্ডের কাংখিত উন্নয়ন করা।

মতবিনিময় সভায় আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন, ফেনী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. ফসিউল আলম, ইউএসটিসি চট্টগ্রামের উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. সোলায়মান, বাংলাদেশ রেলওয়ে সাবেক পরিচালক বীরমুক্তিযোদ্ধা আফতাব উদ্দিন আহম্মদ, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা বিভাগের প্রফেসর এ কে এম তফজল হক, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের এইচ আর এম বিভাগের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. মো. আফতাব উদ্দীন, ইপসার প্রধান নির্বাহী মো. আরিফুর রহমান, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. ওমর ফারুক রাসেল, একুশে টেলিভিশনের ডেপুটি নিউজ এডিটর হাসান ফেরদৌস, দৈনিক আজাদীর চীফ রির্পোটার হাসান আকবর, এটিএন বাংলার সিনিয়র রির্পোটার মুহাম্মদ আবুল হাসনাত, সীতাকুণ্ড উপজেলা সমাজকল্যাণ ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক পলাশ কুমার চৌধুরী, সীতাকুণ্ড সমিতি-চট্টগ্রামের সভাপতি নাছির উদ্দিন মানিক, সাধারণ সম্পাদক আবেদীন আল মামুন, সীতাকুণ্ড উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাবেক সভাপতি এড. ভবতোষ নাথ, সীতাকুণ্ড আইনজীবী কল্যাণ সমিতির সভাপতি এড. আতিকুল মান্নান জামশেদ, ইপসার পরিচালক মোরশেদ চৌধুরী।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *