আজ শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ॥ ৬ আশ্বিন, ১৪৩১ ॥ ১৭ রবিউল আউয়াল, ১৪৪৬

কেশবপুরে ১০টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চুরি
গ্রাম বাংলা প্রধান খবর শিরোনাম

কেশবপুরে ১০টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চুরি

প্রতিনিধি: শামীম আখতার, (খুলনা)
জানু ৩০, ২০২৪

যশোরের কেশবপুর উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ১০টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চুরি সংগঠিত হওয়ার ঘটনায় মাসিক আইন শৃঙ্খলা সভায় ব্যাপক আলোচনা হয়েছে।উপজেলার বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে দপ্তরী কাম প্রহরী না থাকায় রাতের অন্ধকারে অজ্ঞাতনামা চোরেরা এসব বিদ্যালয় থেকে ১৩৬টি ফ্যান, পানির মটর, ট্যাপ, সোলার ব্যাটারী, ওয়াইফাই রাউটার, ঘন্টা ও বই চুরি করে নিয়ে গেছে। মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারি) উপজেলা মাসিক আইন শৃঙ্খলা সভায় একাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে চুরির ঘটনা উল্লেখ করেন উপজেলা শিক্ষা অফিসার শেখ আব্দুর রব।

শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে, কেশবপুর উপজেলায় ১৫৮টি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। প্রতিটি বিদ্যালয়ে একজন করে দপ্তরী কাম প্রহরী থাকার কথা থাকলেও ১১৯টি বিদ্যালয়ে দপ্তরী কাম প্রহরী নেই। যে সব বিদ্যালয়ে দপ্তরী কাম প্রহরী নেই, চোর সেই সব বিদ্যালয় থেকেই চুরি করছে। গত কয়েকদিনের মধ্যে উপজেলার ভোগতী নরেন্দ্রপুর, শ্রীরামপুর, আলতাপোল মধ্যপাড়া, আগরহাটি, বাউশলা পূর্ব, মানিকপোল, বেলকাটি, চাঁদডাঙ্গী শ্রীফলা, সন্যাসগাছা ও রেজাকাটি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চুরি হয়েছে। ইতোমধ্যে যেসব বিদ্যালয়ের নতুন ভবন হয়েছে সেই সব স্কুলেই চুরি হয়েছে। চুরি হওয়া বিদ্যালয় থেকে চোরেরা ১১৯টি নতুন ফ্যান, পানির মটর, পানির ট্যাপ, সোলার ব্যাটারী, ওয়াই ফাই রাউটার, ঘন্টা ও বই চুরি করে নিয়ে গেছে।

উপজেলা শিক্ষা অফিসার শেখ আব্দুর রব জানান, এ উপজেলার বিভিন্ন এলাকার ১৫৮টি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে ১১৯টি বিদ্যালয়ে দপ্তরী কাম প্রহরী না থাকায় রাতে পাহারার কোন ব্যবস্থা নেই। সেই সুযোগে চোরেরা রাতের অন্ধকারে বিভিন্ন মালামাল চুরি করে নিয়ে যাচ্ছে। চুরি রোধে মঙ্গলবার উপজেলা মাসিক আইন শৃঙ্খলা সভায় বিষয়টি নিয়ে ব্যাপক আলোচনা হয়েছে।

চুরির বিষয়ে কেশবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ জহিরুল আলম বলেন, কয়েকটি বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক চুরির ঘটনা উল্লেখ করে থানায় জিডি করেছেন। চোর সনাক্তসহ চুরির মালামাল উদ্ধারের জন্য পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে। তাছাড়া বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এলাকায় পুলিশি টহল বাড়ানো হয়েছে।

এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো: তুহিন হোসেন বলেন, উপজেলার একাধিক প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চুরির ঘটনার বিষয়ে উপজেলা আইন শৃঙ্খলা কমিটির মাসিক সভায় তুলে ধরেন উপজেলা শিক্ষা অফিসার। নিয়োগ বন্ধ থাকায় দপ্তরী কাম প্রহরী নিয়োগ দেওয়া যাচ্ছে না। তবে চুরি রোধ করতে গ্রাম পুলিশ দিয়ে পাহারার ব্যাবস্থা করা হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *